bn বাংলা
বাংলা বাংলা
English English
عربي عربي


+8801575-547999
সকাল ৯টা হতে রাত ১০টা
Community Welfare Initiative

ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীনের ফাতওয়া

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

প্রশ্ন: শ্রদ্ধেয় শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন (হাফিযাহুল্লাহ)

আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভালোবাসা দিবস’ উদযাপন অনেকের (বিশেষ করে ছাত্রীদের) মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে, যা খ্রিষ্টানদের একটি উৎসব। তখন প্রত্যেকের বস্ত্র হয় সম্পূর্ণ লাল রঙের পোশাক-জুতা সবই আর তারা পরস্পরের নিকট লাল ফুল বিনিময় করে।

শ্রদ্ধেয় শাইখের নিকট এ জাতীয় উৎসব উদযাপন করার বিধান বর্ণনা করার জন্য অনুরোধ রইল। তাছাড়া এরূপ বিষয়ে মুসলিমদের প্রতি আপনাদের দিক-নির্দেশনা কী? আল্লাহ আপনাদের হিফাযত ও রক্ষা করুন।

উত্তর:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

কয়েকটি কারণে ‘ভালোবাসা দিবস’ উদযাপন জায়েয নয়:

প্রথমত: এটি একটি নব-উদ্ভাবিত বিদ‘আতী দিবস, শরী‘আতে যার কোনো ভিত্তি নেই।

দ্বিতীয়ত: এটি অনৈতিক-প্রেম পরিণতির দিকে মানুষকে ধাবিত করে।

তৃতীয়ত: এর কারণে সালাফে সালেহীনের পথ-পদ্ধতির বিরোধী এরূপ অর্থহীন বাজে কাজে মানুষের মন-মগজ ব্যস্ত করার প্রবণতা তৈরি হয়।

তাই এদিনে দিবস উদযাপনের কোনো কিছু প্রকাশ করা কখনও বৈধ নয়; চাই তা খাদ্য-পানীয় গ্রহণ, পোশাক-আশাক পরিধান, পরস্পর উপহার বিনিময় কিংবা অন্য কিছুর মাধ্যমেই হোক না কেন।

আর প্রত্যেক মুসলিমের উচিৎ নিজ দীন নিয়ে গর্বিত হওয়া এবং অনুকরণপ্রিয় না হওয়া। কেউ করতে দেখলে সেও করবে, কেউ আহ্বান করলেই তাতে সাড়া দিবে, এমনটি যেন না হয়।

আল্লাহর নিকট দো‘আ করি, তিনি যেন প্রত্যেক মুসলিমকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় ফিতনা থেকে হিফাযত করেন। আর আমাদেরকে তিনি তাঁর অভিভাবকত্ব ও তাওফীক প্রদান করে ধন্য করেন।

লিখেছেন: মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন
৫/১১/১৪২০ হিজরী

 

অনুবাদ: প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
সম্পাদনা: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী

Share on