![আমানত [গুরুত্ব, বিধান ও খেয়ানতের পরিণাম] | AMANAT | اَلْأَمَــــانَــــةُ [أَهَمِّيَتُهـَا أَحْكَامُهـَا وَعُقُـوْبَـةُ الـخِيـَانَـةِ فِيْهـَا]](https://demo.cwibd.com/wp-content/uploads/2025/03/amanot-280x400.webp)
আমানত [গুরুত্ব, বিধান ও খেয়ানতের পরিণাম]
আমানত মানবজাতির এক তাৎপর্যপূর্ণ মহান দায়িত্ব। এটি মানুষের আসল পুঁজি, সাফল্য ও সমৃদ্ধির গ্যারান্টি এবং উন্নতি ও অগ্রগতির চাবিকাঠি। আজ নানাবিধ সামাজিক বিপর্যয়ে আমরা আবক্ষ নিমজ্জিত। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও দুরাচারের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব; অপরাধ ও অসামাজিক কর্মের আস্ফালন—এসবের প্রকৃত ও প্রধান কারণ হচ্ছে আমানতের অনুভূতি শিথিল হয়ে যাওয়া, দায়িত্ববোধের উপলব্ধি না থাকা, দায়িত্বে অবহেলা করা এবং অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ আদায় না করা।
যদি আমানতের চেতনা কারো ভেতর পূর্ণরূপে জাগরূক হতে পারে, তবে সে একদিকে যেমন মহান আল্লাহর পরম নৈকট্য অর্জনে ধন্য হবে; অপরদিকে সে সমাজ ও রাষ্ট্রে নিজেকে একজন যোগ্য, সৎ, নীতিবান, আদর্শ সমাজবোধ সম্পন্ন সুনাগরিকরূপে গড়ে তুলতে পারবে। দেশ, জাতি ও সমাজের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর ও স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে সে লিপ্ত হবে না। তার দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি যথাযথ হিফাযত হবে, সার্বভৌমত্ব সংরক্ষিত থাকবে, মানুষের হক পুরোপুরি আদায় হবে এবং সে অন্যায় পক্ষপাতিত্ব হতে বিরত থাকবে। সে গোটা দেশ ও জাতির উন্নতি-অগ্রগতির জন্য কাজ করবে।সুতরাং জীবনকে সোজা ও সঠিক করতে হলে, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা চাইলে, সর্বত্র সৎ ও আমানতদার লোক তৈরি করতে হবে এবং তাদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে। গ্রন্থটিতে আমানতের নানা প্রকার, প্রকরণ ও শাখা-প্রশাখা একত্রিত করে আমানতের ব্যাপক অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কুরআন-হাদীস ও উলামায়ে কিরামের মতামতের মাধ্যমে প্রত্যেকটি প্রকারকে সুশোভিত ও কারুকার্যময় করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাথে সাথে খেয়ানতের মতো ভয়াবহ মহামারী থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তাও আলোচনা করা হয়েছে।